পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কোটা চণ্ডীপুর গ্রামের 'কোটা- মানকর' রাস্তার উপর দিয়ে সারাদিনে অসংখ্য মাটি বোঝায় ডাম্পার যাতাযাত করছে নতুন কারখানা তৈরির উদ্দেশ্যে। আপনারা ছবিতে দেখুন কি অবস্থা! গাড়ি চলাচলের ফলে প্রচুর ধূলো-ধোঁয়ায় দিনের পর দিন পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছে, রাস্তার অবস্থা বেহাল, কোন সংস্কার নেই, রাস্তায় এক ফোঁটা জল দেওয়ার নাম গন্ধ নেই, দূরভাগ্য বশত রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি, যার ফলে দিনের পর দিন রাস্তার সমস্ত ধূলো বাড়ির মধ্যে এসে প্রবেশ করছে। বাড়ির আসবাব পত্র যাচ্ছেতাই ভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন রাস্তার ধূলিকণার মধ্যে জীবন নির্বাহ করতে হচ্ছে। যার ফলে শরিরের অবস্থা যাচ্ছেতাই হয়ে যাচ্ছে, সারাদিন হাঁচি কাশি শ্বাসকষ্ট এই নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে। যখনি প্রতিবাদ করছি, ডাম্পার দাঁড় করিয়ে রেখেদিচ্ছি তখনি একবার ট্যাঙ্ক করে সামান্য জল ছিটিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, তারপর যে কে সেই.......! সবসময় তো আর রাস্তা আগলে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় না, তার জন্য চাই স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজরদারী, না হলে এমন অরাজকতা চলতেই থাকবে।
শিল্প হোক ক্ষতি নেই, রাস্তায় গাড়ি যাতায়াত করুক ক্ষতি নেই, এইসব করে এক শ্রেণীর মানুষ বিত্তবান হোক কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু শিল্পের নামে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ এটাই কি কাম্য?
একটি গাছ, একটি পাতা, একটি ফুল খুব কাছাকাছি ছিল গভীর সত্বার নির্বাক অরন্যে। একটি হৃদয়, একটি প্রেম, একটি প্রশ্ন চলে গিয়েছিল দূরে অনন্ত ভালোবাসার সাগর তরঙ্গে। একটি সকাল, একটি সন্ধ্যা, একটি রাত্রি হারিয়ে যায় বারবার – জীবনের প্রথম ভোরের কাছে.......!
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭
বায়ু দূষণ
সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭
কৃষি ও শিল্প।
কৃষি ও শিল্প। পাশাপাশি সহবস্থান। এই ছিলো পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অন্তগত কোটা অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। একদিন সেই স্বপ্নের উপর ভড় করে কৃষি জমি শিল্পের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। মানুষের স্বপ্নছিলো একদিন তাদের এই লালনপালন করা জমিতে বৃহৎ শিল্প হবে। ঘড়ের ছেলেরা কাজ পাবে। কেউ কেউ শিল্পের উপর বেস করে ব্যাবসা করবে, এলাকার আর্থিক বিকাশ হবে..... আজ প্রায় সাত বছর হয়ে গেল, শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, কারাখানা তৈরি প্রায় শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু সেই কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বের হবে কবে? কবে শুরু হবে উৎপাদন? কবে কাজ পাবে জমি হারা ঘড়ের ছেলেরা? কবে হবে এলাকার আর্থিক বিকাশ? অধিগ্রহণ করা জমির পাশের জমি গুলিতে তো আজও বহালতবিয়তে কৃষির ফসল ফলে যাচ্ছে। কিন্তু যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো, যে জমিতে কারখানার বড় বড় যন্ত্রপাতি বসেছে, কারখানার সেড হয়েছে, যে জমিতে কারখানার বড় বড় চিমনী দেখা যায়- সেই জমির ভবিষ্যৎ কি? সেই জমি আজ কৃষি না শিল্প? প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর কই?
রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৭
Happy New Year 2017
"নিশি অবশান প্রায়, ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত,
আমি আজি ধূলিতলে জীর্ণ জীবন করিলাম নত।
বন্ধু হও, শত্রু হও, যেখানে যে রও
ক্ষমা কর আজিকার মত
পুরাতন বরষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত" কবিগুরুর সেই বিখ্যাত কথা গুলিকে উক্তি করে বলতে চাই জীবনের সাথে সাথে সময় ও বহমান, আজ যা নতুন কাল তা পুরানো, একদিন যে বর্ষকে সাদরে গ্রহণ করে ছিলাম, কাল তাকে বিদায় জানিয়েছি। জীবনের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি কাল যাকে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছিল আজ কিংবা কাল কিংবা কোন একদিন তাকে বিদায় জানাতেই হয়, আজ যে আছে কাল হয়তো সে থাকবে না, তাই আসা যাওয়ায় জগতের নিয়ম... কিন্ত এই নিয়মের মাঝেও আমরা অনেক সময় অনিয়ম করে ফেলি, যার সময় হয়নি যে দ্বিপ্রহর বেলায় মধ্য গগনে বিরাজমান তাকেও আমরা গোধূলি বেলা ভেবে ভূল করে পশ্চিম আকাশের অস্তাচলে সূর্যের মত বির্সজন দিই....! তবু জীবন জীবনের মতো চলে, সময় সময়ের মতো। যাইহোক নতুন বছরের নতুন দিনে সবাইকে জানাই শ্রদ্ধা, নমস্কার, প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, সামনের দিনগুলি সবাই নিজ নিজ স্থানে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কবিগুরুর সেই বিখ্যাত কথা গুলি পুনরায় স্মরণ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই....... বন্ধু হও, শত্রু হও, যেখানে যে রও
ক্ষমা কর আজিকার মত
পুরাতন বরষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত.......